তবে, যে কোনো দ্রষ্টা হলে কি চলবে? সেই দ্রষ্টা কি রকম হওয়া চাই? বিজ্ঞান সে সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি নয়৷ তবে আমরা এটা বুঝতে পারি, দ্রষ্টা রোবট (robot) হলে চলবেনা৷ কেন চলবেনা? এ প্রশ্ন স্বাভাবিক৷ উত্তরটাও খুব স্বাভাবিক, কারণ রোবট সচেতন নয়৷ তার প্রতিটি গতিবিধি ভাবনা চিন্তা কিছু নিয়মে অবধ্য, যা তার কারিগর অনায়াসে বলে দিতে পারেন৷ সোজা কথাযে, রোবটের নিয়মগুলি বদলে দিলে সত্যটাও বদলে যায়ে৷ এর থেকে বোঝা যায়ে, দ্রষ্টার চেতনা থাকা জরুরি৷ সেই দ্রষ্টা কোনো নিয়মে বধ্য থাকেনা৷ কোনো নিয়ম দিয়ে তার ভাবনা-চিন্তা নির্ধারণ করা যাবেনা৷
মজার ব্যাপার, এই একই যুক্তি চেতনা যাচাই করার ক্ষেত্রেও খাটে৷ তবে একটা কথাও গন্ডগোল আছে? গন্ডগোলটা চেতনা যাচাইয়ের জন্য যে দ্রষ্টা জরুরি, তার চেতনা নিয়ে৷ সমস্যাটা অনেকটা 'মুরগি আগে না তার ডিম আগে'-এর মতো৷ চেতনা যাচাই করার জন্য যদি চেতন দ্রষ্টার দরকার পরে, তাহলে সেই দ্রষ্টার চেতনাও তো প্রমান সাপেক্ষ? তাহলে কি এক মহাচেতনার প্রয়োজন? সেই মহাচেতনাময় দ্রষ্টাই আদি-দ্রষ্টা৷ তিনি ছিলেন, আছেন,থাকবেন৷ সেই মহাচেতনার চেতনা প্রমান করার চেষ্টা বৃথা৷ সব চেতনার উর্ধে তিনি৷ সব চেতনাই তার থেকে প্রমান হয়ে, তা৺র চেতনাই প্রমান করা যায়েনা৷
আমার এই রচনাটি, বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়ের লেখা " বিজ্ঞান ও বিশ্বচৈতন্য " নামক এক অসাধারণ বই দ্বারা অনুপ্রেরিত! বইটি সংগ্রহ করার জন্যে লেখককে যোগাযোগ করতে পারেন এই ভাবে:
বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়
২৫সি , তারাশঙ্কর সরণী
কলকাতা -৭০০০৩৭
দূরভাষ : +(91)9674207410
+(91)(033 )25329866